মুসলিম বিরোধী সিএএ-র প্রতিবাদকারীদের মুক্তি দিতে মোদির প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান


মুসলিম বি'রোধী নাগ'রিকত্ব আইন সিএএ-র প্রতিবাদ'কারীদের মধ্যে যাদের গ্রে'ফতার করা হয়েছে, তাদের মু'ক্তি দিতে ভারতের ক্ষমতা'সীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বি'শেষজ্ঞরা।

(২৬ জুন) শুক্রবার জাতিসংঘের মান'বাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের অফিস থেকে এক প্রেস বি'জ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই গ্রে'ফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষার্থী, এবং তাদেরকে গ্রে'ফতার করার একমাত্র কা'রণ হলো সিএএ’র বি'রুদ্ধে প্রতিবা'দের অধিকারের চর্চা করেছে তারা।
এতে বলা হয়েছে, তাদের গ্রে'ফতারের মধ্য দিয়ে ভারতের নাগ'রিক সমাজের প্রতি একটা পরিস্কার বার্তা দেয়া হয়েছে যে, সরকারের বি'রুদ্ধে সমালো'চনাকে কোনভাবেই স'হ্য করা হবে না।

ভারত'জুড়ে মুসলিম বি'রোধী সিএএ-র প্রতিবাদে বি'ক্ষোভ চলাকালে ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানী নয়াদিল্লীতে চরম সহিংসতা ছড়িয়ে দেয় দেশটির
উগ্র হিন্দুত্ব'বাদী নেতারা এবং এতে ৫৩ জন নিহত হয়, যাদের অ'ধিকাংশই মুসলিম।

ভারতের প্রধান'মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়'তাবাদী সরকার গত বছর সিএএ গ্রহণ করে। এই আ'ইনের অধীনে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা ৬ টি ধর্মের অভিবাসীদের'কে ভারতের না'গরিকত্ব দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কি'ন্তু এই তালিকার মধ্যে মুসলিমদের'কে রাখা হয়নি। 
ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নি'র্ধারণের এই আইন সারা ভারতে ব্যাপক বিক্ষো'ভের সৃষ্টি করে। এর মধ্যে কিছু বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন মুসলিম না'রীরা।

জাতিসংঘের মান'বাধিকার বি'শেষজ্ঞরা বলেছেন যে, পু'লিশ ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা ও সমর্থকদের বি'রুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যার্থ হয়েছে, যদিও তারা সহিসংতার জন্য ঘৃণা উসকে দিয়েছিল। 
সিএএ’র পক্ষের এক সমাবেশে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের গু'লি করো’ বলে শ্লোগান দিয়েছিলেন হিন্দুত্ববাদী বিজেপির একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী'। 

অন্য'দিকে উত্তরপূর্ব দিল্লীল এক'জন বিজেপি এমপি ফেব্রুয়ারির সহিংসতার স্থলে বিক্ষোভ'কারীদের কে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার হু'মকি দিয়েছিলেন।

বিবৃতি'তে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা গ্রে'ফতারকৃত ১১ জনের নাম উল্লেখ করে বলেছেন তাদের বি'রুদ্ধে ‘মারাত্মক মানবাধিকার ল'ঙ্ঘন করা হয়েছে’ এবং কাস্টডিতে তাদের বি'রুদ্ধে ‘নির্যা'তন ও তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে’। তারা বলেছেন, সিএএ বি'রোধী বিক্ষোভ'কারীদের বিরু'দ্ধে ভারতের পদক্ষেপের মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনা হলো গর্ভবতী শিক্ষার্থী সাফুরা জারগারকে গ্রে'ফতার করা, যাকে দুই মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে রাখা হয়েছে।

২৭ বছর বয়সী জারগারকে আলাদা জায়গায় আট'ক রাখা হয়েছে বলে অ'ভিযোগ রয়েছে, এবং তাকে নিয়মিত তার পরিবারের সদস্যের সাথে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না, এবং পর্যাপ্ত মেডিকেল সুবিধা বা খাবারও তাকে দেয়া হচ্ছে না।
এই বি'বৃতির জবাবে ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার বলেছে সিএএ ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ এবং ভারতের সার্বভৌমত্বের বি'ষয়ে কোন বিদেশী পক্ষের ভূ'মিকা থাকতে পারে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ