উইঘুর মুসলিমদের ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে ভ্রুণ হত্যা করছে চীন সরকার


চীনের বি'রুদ্ধে মুসলিম সংখ্যালঘুদের নির্মূল চেষ্টার অ'ভিযোগ উঠেছে। এ'লক্ষ্যে আগের চেয়ে কঠোর করা হয়েছে জন্ম'নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। বাধ্য করা হচ্ছে গর্ভপাত ও ভ্রুণ হ'ত্যার মতো জ'ঘন্য কাজে। 
বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এ ত'থ্য জানিয়েছে। বেইজিংয়ের এ আচরণকে জাতি'সংঘের কনভেনশনের লঙ্ঘন বলছেন বি'শেষজ্ঞরা।

উইঘুর মুসলিমসহ সংখ্যা'লঘু জনসংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে জন্ম'নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাপকভাকে জোরদার করেছে চীনের কমিউনিস্ট সর'কার। 
সরকারি তথ্য, কারাগারে আ'টক সাবেক ৩০ বন্দি, তাদের পরিবার, আটক কেন্দ্রের এক পরি'দর্শকের সাক্ষাৎকার গ্রহণের ভিত্ততে বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে এ ত'থ্য জানানো হয়। 
খবরে বলা হয়, দুইয়ের অধিক স'ন্তান থাকলেই দিতে হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। করতে হ'য় কারাভোগ।

এক'জন বলেন, তৃতীয় সন্তানের জন্মনিববন্ধ'সহ সরকারি সব কাগজপত্র আছে। তারপরও বলা হলো দু’দিনের মধ্যে আড়াই হাজার ডলার দিতে হবে। কোনো অর্থ ছিল না। তারা কারো কথা শু'নে না। কথা না শুনলে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে ভ্রুণ হ'ত্যা করে। 
সন্তান জন্মাদানে সবাই এখন ভয় পায়। অতিরক্তি সন্তান্তের খোঁজে প্রায় সব বাসাবাড়ি'তে অভিযান চালায় পু'লিশ। ভয়ে শিশুদের লুকিয়ে রাখেন আতঙ্কিত বাবা-মায়েরা। 

এ'ছাড়া জন্মহার কমাতে বাধ্য করা হচ্ছে জন্ম'নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণে। জোরপূর্বক গর্ভপাত, অঙ্গ অকেজো'সহ অনামনিবক নানা নি'র্যাতনের অভি'যোগ উঠেছে।

আরেক'জন বলেন, তারা আমাদের নির্মূল করতে চায় কিন্তু মে'রে ফেলছে না। স্টেরিলাইজেশন, কারাগারে আটকে রাখা, স্বামী-স্ত্রীকে আ'লাদা করার মাধ্যমে আমাদের ধীরে' ধীরে' শেষ করে দেয়া হচ্ছে।

উইঘুরের হোতান ও কাশগারে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে জন্ম'হার কমেছে ৬০ শতাংশ। জিনজিয়ানে কমেছে ২৪ শতাশং। কি'ন্তু চীনের অন্যান্য জায়গায় এ হার কমেছে মাত্র ৪ শতাংশ। একে জনমিতি গণহ'ত্যা বলছেন বি'শেষজ্ঞরা।

এডরিন জেনজ বলেন, জিনজিয়ানে চীনা সরকার জন্ম'নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কঠোর ও নির্মম করেছে। তারা ব্যাপকভাবে নারীদের স্টেরিলাইজেশন করাচ্ছে। যা জা'তিসংঘ কনভেনশনের লঙ্ঘন। তাদের এ অপকর্মের অকাট্ট প্রমাণ আছে আমাদের কাছে।
এ বিষয়ে চীনের আগের বক্তব্য, তারা হানজাতির জন'সংখ্যার সঙ্গে অন্যান্য সংখ্যালঘু'গোষ্ঠীর জন'সংখ্যা সমান করার জন্য জন্ম'নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে সব'শেষে এপির প্রতি'বেদকের কাছে কোনো মন্তব্য ক'রেনি বেইজিং।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ