আমেরিকার ২৩ বছরের বিলাসী জীবন রেখে দেশে অনাহারীর মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন ইনি

 

রাত পোহালেই ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। এই দিনটি'তে জাতির জনক বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু'কে সপরিবারে নির্মম'ভাবে হ'ত্যা করেছিল হায়েনারা। শো'কদিবস উপ'লক্ষে দেশ'ব্যাপী সাধারণত নেতাকর্মী'দের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে যায়। 

বঙ্গবন্ধু এবং ওনার পরিবারের ছবির চেয়ে নেতাদের ছবি'গুলো বড় বড় করে টানানো হয়। সেই পোস্টার-ব্যানার এলাকার অলিগলি, পাড়া-মহল্লা, সড়ক এবং মহাসড়'কে সাঁটানো হয়। নিজেকে প্রচার করতেই যেন ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন নেতা'কর্মীরা। কেউ কেউ শোক দিবস পালন করার নামে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা থেকে চাঁদা ওঠানো হয় লাখ লাখ টাকা। সেই চাঁদার টাকায় নিজেদের মধ্যে হয় ভাগ-বাটোয়ারা। এমন চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশের অনেক এলাকায়।

কি'ন্তু ভিন্ন চিত্র দেখা যায় গাজীপুরে এক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতার ক্ষেত্রে। এমন নেতার নিজের এলাকায় নেই কোনো পোস্টার নেই কোনো ব্যানার। এমনটা যে এবারের জাতীয় শোক'দিবসে ঘটছে তা নয়। তিনি নিজের ছবি দিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো পোস্টার করেননি।
নিজের প্রচার-প্রচারণার চেয়ে শুধু বঙ্গ'বন্ধুর আদর্শ'কে ধারণ করেই অস'হায় মানুষের পাশে থেকছেন। দরিদ্র অনাহারী, এ'তিম প্রতিব'ন্ধীদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন। নিজের খামারের মাছ, গরুর দুধ অস'হায়দের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছেন।

তিনি আকরাম হোসেন বাদশা। ২৩ বছর ধরে আমেরিকার শিকাগোতে বিলাসী জীবন'যাপন শেষে মাটির টানে পরিবার নিয়ে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু'প্রেমী বাদশা দেশে ফিরে শ্রীপুরের প্রহলাদপুর নিজ গ্রামে মাছ এবং গরুর খামা'র করেছেন। খামার থেকে আয়ের টাকায় অস'হায় মানুষের পাশে দাঁড়ান।
ছবি'তে দেখা যাচ্ছে শোক দিবস উপলক্ষে আকরাম হোসেন বাদশা খাবার তুলে দিচ্ছেন এ'তিমদের প্লেটে প্লেটে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উ'পলক্ষে গাজীপুরের ৩ শতাধিক এতিম ছাত্রদের মাঝে বিশেষ খাবার বিতরণ করেছেন যুবলীগ নেতা আকরাম হোসেন।

গতকাল (১৩ আগস্ট) বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার রাজবাড়ী ইউ'নিয়নের দারুল ইনসাফ মাদ্রাসায় তিনি স্থানীয় নেতা'কর্মীদের নিয়ে এ খাবার বিতরণ করেন। বঙ্গ'বন্ধু শেখ'মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী'তে তাঁর ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের স্ম'রণে প্রথমে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া এবং পরে খাবার বিতরণ করা হয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের রাজ'নীতির সাথে যুক্ত থেকেও অতি সা'ধারণ জীবনযাপন করা মানুষ'টির এই বিষয়'টি দৃষ্টান্ত অবশ্যই। নিজের খামারের খাসির মাংস তিনি বিলিয়ে দেন এ'তিমদের মধ্যে। তারা এক'বেলা খেয়ে জাতির জনকের জ'ন্য দোয়া করবে যুবলীগ নেতা বাদশার এটাই প্র'ত্যাশা। শুধু শোক'দিবসে নয়, যেখানেই দ'রিদ্র এবং অ'সহায় মানুষের হাহা'কার সেখানেই সাধ্যমত পাশে থাকার চে'ষ্টা করেন তিনি।

পোস্টার-ব্যানার করতে যে ব্যয় হয়, তা দিয়ে অনেক মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেয়া যায়। বরং এ'ধরনের কাজে মানবিক দৃ'ষ্টান্ত তৈরি হয়। আমাদের শো'ক যদি আমাদের মানবিক করে তোলে, আমাদের দেশ'প্রেমিক করে তোলে, আমাদের ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে শেখায়, তবে'ই কেবল সুন্দর এক'টি দেশ পেতে পারি আমরা।

পোস্টার-ব্যানার দিয়ে পাড়া-মহল্লায় নিজে'কে জাহির করা নয়, বঙ্গ'বন্ধুর আদর্শ'কে ধারণ করে নীরবে মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি। তাহলেই সো'নার বাংলা হয়ে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ, বি'শ্বাস আকরাম হোসেন বাদশার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ