টিকটকার অপু'কে কারাগারে পাঠানোর সময় তাঁর চুল ছিল বড় ও সবুজ রঙের। ১৫ দিন পর গত'কাল মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর সেই চুল আর দেখা যায়নি।
কা'রাগারে চুল কেটে ছোট করায় অপুর মন'খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী জাহানারা বেগম।গন'মাধ্যমকে জাহানারা বেগম বলেন, অপু মডেলিং করেন, এটা তাঁর পেশা। কাজের প্রয়োজ'নে তিনি চুল বড় রেখেছিলেন এবং ভিন্ন রং করিয়েছিলেন।
কি'ন্তু কারাগারে তাঁর চুল কে'টে ছোট করা হয়েছে। এতে তাঁর মন খা'রাপ হয়ে গেছে। আইন অ'নুযায়ী হাজতি কারো চুল কেটে দেওয়া যায় কি না, জানতে চাইলে জাহানারা বেগম বলেন, কারা কর্তৃ'পক্ষ বিষয়'টি ভালো বলতে পারবে।
এ'বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কা'রাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরী বলেন, কা'রাগারে এক'জন আসামি'কে আনার পর তাঁকে শৃঙ্খলার মধ্যেই রাখা হয়। এক'জন আসামি চাইলেই নিজের মতো জীবন'যাপন করতে পারেন না।
কারা'বিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলার জন্য প্রত্যেক আসামির চুল ছোট করার নি'য়ম রয়েছে। এ'জন্য তাঁর চুল ছোট করা হতে পারে।
জানা গেছে, গত ২ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের আলাওল অ্যাভিনিউ'তে রাস্তা দখল করে অপু এবং তাঁর কয়েক'জন সহযোগী আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় মেহেদী হাসান নামের এক ব্যক্তি বন্ধু'দের নিয়ে গাড়িতে চড়ে ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন।
সে সময় মেহেদী রাস্তা ছাড়তে হর্ন দেন। কেন হর্ন দেওয়া হলো—এ নিয়ে দুই'পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তা হাতাহাতি ও মারা'মারির পর্যায়ে গড়ায়।
পরের দিন গত ৩ আগস্ট দুপুরে মেহেদী হাসানের বাবা এস এম মাহবুব আলম বাদী হয়ে মারা'মারি ও ছিনতাইয়ের অ'ভিযোগ এনে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মা'মলা করেন। মামলায় অপু'সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আ'সামি করা হয়। পরে পু'লিশ ওই মাম'লায় অপু ও সহযোগী নাজমুলকে গ্রে'প্তার করে।
গত ৪ আগস্ট অপু ও নাজমুল'কে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আ'দালতে হাজির করে তাঁদের ৩ দিনের রি'মান্ড আবেদন করেন মাম'লার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজ তালুকদার। তবে মেট্রো'পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার রি'মান্ডের আবেদন নাকচ করে আসামিদের কা'রাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আ'দালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ জালাল জানিয়েছিলেন, গত ১৭ আগস্ট ঢাকার মেট্রো'পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুন অর রশিদের আদা'লতে জামিন আবেদন করা হলে অপু'কে জামিন দেওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ