কক্সবাজারে অবসর'প্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ'কে গু'লি করে হ'ত্যা মা'মলায় কারা'গারে বন্দি টেক'নাফ থানার বির্তকিত সাবেক ও'সি প্রদীপ'কুমার দাশ ও তার স্ত্রী' চুমকি কারণের বি'রুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত চার কোটি টাকার অ'বৈধ সম্পদ অর্জনের বি'রুদ্ধে মাম'লা করেছে দুনী'র্তি দমন কমিশন।
আজ (২৩ আগষ্ট) রবিবার দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কা'র্যালয়-১ এ সমন্বিত আদা'লতে এ মা'মলা দায়ের করেন।মা'মলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন মা'মলা দায়েরের সত্যতা নি'শ্চিত করেছেন।
তিনি জানায়, প্রায় চার কোটি টাকার অ'বৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে বরখাস্ত'কৃত টেকনাফ থা'নার ওসি প্রদীপ'কুমার দাশ এবং তার স্ত্রী' চুমকি কারণের বি'রুদ্ধে চট্টগ্রামে মা'মলা দায়ের করেছে দু'র্ণীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রদীপের স'ম্পদ অনুস'ন্ধান এবং প্রাথমিক তদন্ত দুদ'কের কেন্দ্রীয় অনু'মোদন প্রাপ্তির পর এই মা'মলাটি দায়ের করা হয়েছে।
দুদ'ক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কা'র্যালয় সূত্র জানায়, ওসি প্রদীপের বি'রুদ্ধে দুদকের অনু'সন্ধান কার্য'ক্রম শুরু হয় মুলত ২০১৮ সাল থেকে।
পরবর্তী'তে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী'র সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য নো'টিশ প্রদান করা হলে এক'ই বছরের জুন মাসে ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী' সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। এই স'ম্পদ বিবরণীর আলোকে দীর্ঘ অনু'সন্ধানে দুদ'ক প্রদীপ ও তার স্ত্রী'র বিরু'দ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্প'দ অর্জনের ত'থ্য পেয়েছে।
১৯৯৫ সালে পু'লিশ বাহিনীতে এসআই পদে চাকুরি পাওয়ার পর থেকেই মুলত ওসি প্রদীপ অ'বৈধ সম্পদ অর্জনে আত্ম'নিয়োগ করে। তার সম্পদ দৃশ্যমান হতে থাকে ২০০২ সাল থেকে। দুদক সূত্র জানায়, ওসি প্রদীপের সব সম্পত্তিই তার স্ত্রী' চুমকি কারণের নামে।
যার কোন বিশ্বাস'যোগ্য জ্ঞাত আয়ের উৎসই নেই। চুমকী কারণের নামে চার কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৯ টাকার সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে তিনি পারিবারিক ব্যয়'সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে খরচ করেছেন ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
চুমকি কারণের পূর্বের সঞ্চয়, উপহার, বাড়ি'ভাড়া থেকে বৈধ আয় হিসেবে ৪৯ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকার স'ম্পদ পাওয়া যায়। বৈধ আয় বাদ দিলে চুমকীর নামে মোট ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার অ'বৈধ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। এটা তার জ্ঞাত আয়ের স'ঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
ওসি প্রদীপ'কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নী'তির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে সম্পদ ক্রয় করে স্ত্রী'র নামে রেখেছেন বলে দুদক অনুসন্ধানে ত'থ্য পেয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ