যে প্রশ্নের উত্তর জানতে ওসি প্রদীপকে নিয়ে যাওয়া হল সেই ঘটনাস্থলে

 

সেনাবাহিনীর অবসর'প্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ'খান হ’ত্যা মা’মলার প্রধান তিন আসামিকে হ’ত্যাকাণ্ডের ঘটনা'স্থল শামলাপুর চেক পোস্টে নেওয়া হয়েছে। (২১ আগস্ট) শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে রি’মান্ডে থাকা মূল ৩ আ’সামি ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলাল'কে নিয়ে মেরিন ড্রা’ইভ রোডের টেকনাফের বাহারছড়া পু'লিশ তদন্ত কেন্দ্রের কাছে সিনহা হ’ত্যার ঘ’টনাস্থলে যায় র‌্যাব।


এ'সময় র‌্যাবের মা’মলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩১ জুলাই সিনহা'কে হ’ত্যার সময় কার কী ভূমিকা ছিল তা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অবসর'প্রাপ্ত মেজর সিনহা হ’ত্যা মা’মলার তদন্ত'কারী কর্মকর্তা (আইও) র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পু'লিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামও আসামিদের বক্তব্য অনুসারে ঘ’টনার রেকি করেন এবং সচিত্র বর্ণনা তুলে ধরেন।

রি’মান্ডে থাকা টেকনাফ মডেল থা’নার সাবেক ওসি প্রদীপ'কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত মা’মলা তদন্ত'কারী কর্মকর্তার কাছে ঘ’টনার শুরু থেকে শে'ষ পর্যন্ত বিবরণ তুলে ধরেন।
এই তিন আসামি'কে গত ১৮ আগস্ট কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ৭ দিনের রি’মান্ডে র‌্যাবের হেফাজ'তে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ'দিকে মেজর (অব.) সিনহা হ’ত্যা মা’মলার প্রধান আ’সামিদের রি’মান্ডে জিজ্ঞাসা'বাদে পাওয়া বক্তব্যের সঙ্গে আলামত'গুলো মিলিয়ে দেখতে এ প্রক্রিয়া বলে দাবি করেছেন র‌্যাবের অ'তিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার।
তিনি বলেন, এমন কী ঘ’টনা ঘটল যে সিনহা'কে এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে গু’লি করা হলো।

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে প্রধান তিন আসামিকে ঘ’টনা স্থলে নেয়া হয়েছে। পাশা'পাশি কোনো কথা ছাড়াই পরপর লিয়াকত কেন ১ মিনিটের মধ্যে ৪টি গুলি করল তা মেলাতে মূলত ঘটনা'স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
র‌্যাবের অ'তিরিক্ত মহা'পরিচালক কর্নেল তোফায়েল আরো বলেন, যেহেতু এটি একটি স্পর্শকাতর মামলা তাই তদন্তের স্বার্থে চাইলেও সব বলা সম্ভব না। সুতরাং বাকি'টা পরে জানানো হবে বলে সাংবাদিক'দের তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুরের পাহাড়ি এলাকা থেকে শুটিংয়ের কাজ শেষে ফেরার পথে তল্লা'শির সময় পু’লিশের গু’লিতে নি’হত হন সেনা'বাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা। এ ঘ’টনায় দায়ের করা মা’মলায় এখন পু’লিশের হে’ফাজতে আছেন প্রদীপ'কুমার'সহ ৯ আ’সামি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ