পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পৌনে ২ কোটি টাকা

 

কিশোরগঞ্জের ঐ'তিহাসিক পাগলা মসজিদের দান'বাক্স থেকে এবার রেকর্ড প'রিমাণ অর্থাৎ ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা টাকা পাওয়া গেছে।

(২২ আগস্ট) শনিবার বিকেলে গণনা শে'ষে এ টাকার হিসাব পাওয়া যায়। টাকা ছাড়া'ও দান হিসেবে অনেক স্বর্ণা'লঙ্কার পাওয়া গেছে দান'বাক্সে।

এবার ৬ মাস সাত'দিন পর মসজিদের দানবাক্স'গুলো খোলা হলো। ফলে দান'বাক্সে পাওয়া গেল ১২ বস্তা টাকা।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দানবাক্স'গুলো খোলা হয়েছিল। তখন ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার-বৈ'দেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। সাধারণত ৩ মাস পরপর দান'বাক্স খোলা হয়। তবে এবার ক'রোনা মহা'মারির কা'রণে দেরিতে এ'গুলো খোলা হয়।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূ'ত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের জেলা'প্রশাসক ও মসজিদ পরি'চালনা কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা প্রশা'সনের দায়িত্ব'প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতি'তে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আট'টি দান'বাক্স খোলা হয়। পরে দান'বাক্সের টাকা বস্তায় ভরা হয়। ছোট'বড় ১২টি টাকাভর্তি বস্তা নেয়া হয় মসজিদের দোতলায়।

এর'পর মসজিদের মেঝেতে রেখে শুরু হয় গণনার কাজ। স্থা'নীয় একটি ব্যাংকের সব কর্মকর্তা ও মসজিদ-মাদরাসার শতা'ধিক শিক্ষার্থী গণনা কাজে সহ'যোগিতা করেন। বিকেল ৫টায় গণনা শেষে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশা'পাশি দানবাক্সে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার এবং বৈ'দেশিক মুদ্রা।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোর'গঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, পাগলা মসজিদের দান'বাক্স থেকে আজ ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া গেছে।
সেই স'ঙ্গে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রা। টাকা'গুলো রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় জমা রাখা হয়েছে।

কিশোর'গঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ঐ'তিহাসিক পা'গলা মসজিদের অব'স্থান। এখানে ইবাদত বন্দেগি করলে বেশি সওয়াব পা'ওয়া যায় বলে মানুষের বি'শ্বাস। রোগ'-শোক' বা বি'পদে মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়।
এ'সব বিশ্বা'স থেকে এখানে প্রতি'নিয়ত দান খয়রাত করে মানুষ। ৩ মাস পর পর খোলা হয় মসজিদের দান'বাক্স। প্রতি'বারই টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকা। নানা শ্রেণি-পেশা ও ধর্মের লোক'জন এখানে আসেন মানত আদায় করতে।

দান'বাক্স ছাড়া'ও প্রতি'দিন নানা শ্রেণি-পেশা ও ধর্মের মানুষ মানত আ'দায় করতে ছুটে আসেন পা'গলা মসজিদে। নগদ টাকা ছাড়া'ও তারা নিয়ে আসেন চাল-ডাল-গবাদি পশু'সহ বিভিন্ন সামগ্রী। দিন শেষে এ'সব পণ্য নিলামে বি'ক্রি করে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা হয়।
দান'কৃত টাকায় পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে অবশিষ্ট টাকা জমা রাখা হয় ব্যাংকে। দানের টাকা থেকে জেলার বি'ভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিম'খানায় অনুদান দেয়া হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ